Thursday, August 30, 2007

সাংসারেকদের রংচুগালা আসছে, অরুন লেইব্রেস আপনি কি আসবেন না?

জুয়েল বিন জহির


জিসি দা.সালদেম দা.জাদেম
রংচুগালেঙা বিজাকসতেঙ্গা
আমানিগ দগ্রিসিয়ানা
আম্বিনি নাচিলগ্রি বন্নানা
দিশা দক মি,মারিমং মাংমিচ্ছিবিমং
খ্রাম দুখখং দগ্গি
আদুরি বংগিসকি...
(আজকে এই মাসে/ রংচুগালা করছি, পাতা কাটছি/ মা মুরগীর বাচ্চাহীন মৃতূ্যর কারণে/ নানীর নি:শব্দ মৃতূ্যর কারণে/এইভাবে বাজিয়ে/খ্রাম বাজিয়ে/আদুরি বাজিয়ে...)

৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ । সাংসারেক (মান্দিদের নিজস্ব ধর্ম) খামাল (পুরোহিত) দীনেশ নকরেক আদুরি, দামা, খ্রাম এর তালে তালে সুর করে করে খ্রিতা (মন্ত্র) পড়ে রংচুগালার রুগালার কাজ শেষ করেছেন। রংচুগালা হলো মান্দিদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব; ওয়ান্নার ঠিক আগের একটা কৃত্যের নাম। হাবা বা জুম ক্ষেত থেকে ধান তোলার পর তা মাড়াইসহ অন্যান্য কাজ সমাধার পরই মান্দিরা আয়োজন করতেন রংচুগালার। রংচুগালা না করে অর্থাৎ দেবতা মিসি আর সালজং এর উদ্দেশ্যে রংচু বা চিড়া উৎসর্গ না করে নতুন ধানের ভাত রান্না করে খাওয়া সাংসারেক ধর্মীয় মতে নিষিদ্ধ। হাবাহুয়া বা জুম চাষ নিষিদ্ধ হয়েছে সে অনেক আগেই আর বর্তমানে প্রায় ৯৯ শতাংশ মান্দিই যিশুকে প্রভু হিসেবে মেনে নিয়েছেন, কিন্তু তারপরেও গুটিকয়েক সাংসারেকদের হাত ধরে মধুপুরে আজও টিকে আছে রংচুগালা, ওয়ান্নাসহ সাংসারেক ধর্মের অনেক কিছুই। যাই হোক, চুনিয়া গ্রামের অন্যান্য বাড়ির ন্যায় রংচুগালার অনুষ্ঠানিকতা শেষে বড়বাড়ির বারান্দায় (হাবিমার মান্দি রাজা বলে খ্যাত প্রয়াত পরেশ মৃ-র বাড়িতে) আমি, বচনদা (কবি বচন নকরেক) আর মৃত্তিকা কর্মী উক্যেনু মারমা অন্যান্যদের সাথে বসে আলৎ ফলের খাজি খাচ্ছি আর চু এর গ্লাসে ঠোঁট ছোয়াচ্ছি। আমাদের পান পর্ব যখন শেষের দিকে তখনই নেবুলদির ( নেবুল দারু-পরেশ মৃ-র ছোট মেয়ে) সাথে সাথে একদল মানুষ বড়বাড়িতে প্রবেশ করল। আগত দলের অধিকাংশই ছিলেন তরুণ-তরুণী। তাদের পোষাক পরিচ্ছদের বৈচিত্র্যই বলে দিচ্ছিল তারা বিভিন্ন জাতির লোকজন একত্রে জড়ো হয়েছেন বিশেষ কোন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। নেবুল দারুই তাদেরকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। জানতে পারলাম উনারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন ঢাকার একটা এনজিওর আমন্ত্রণে। ময়মনসিংহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে এরা আজ পীরগাছা মিশনের আমন্ত্রণে থমথমা নামক জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে। আর ঐ দিনেই যেহেতু রংচুগালা চলছে তাই সমতলের অন্য একটি আদিবাসী জাতির নিজস্ব সংস্কৃতির একটা অংশ দেখার লোভ সামলাতে পারেননি। রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি থেকে আগত দলের তরুণ-তরুণীদের সাথে আমাদেরও কুশল বিনিময় হলো। উক্যেনুর বাড়ি বান্দরবান হওয়াতে কাজটা বেশ সহজ হয়ে গেল। বিভিন্ন জনের সাথে কথাবার্তা বলার পরে পরিচিত হলাম এক দীর্ঘদেহী লোকের সাথে। উনার সাথে আলাপ করার পরে টের পেলাম দারুন এক ভদ্রলোক তিনি। পঞ্চাশ পেরোনো মানুষ হলেও মনের জোরটা ছিল তরুণদের মতই। উনাকে মৃত্তিকার নতুন-পুরনো কয়েকটা সংখ্যা দিলাম, উনিও সানন্দে গ্রহণ করলেন। আমার নোটবুকে উনি উনার ঠিকানা মোবাইল নাম্বার লিখে দিলেন। আমারটা চাইলে বললাম মৃত্তিকার ঠিকানায় যোগাযোগ করলেই হবে। বড়বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ কাটানোর পর জনিক আচ্চু পুরো দলকে নিয়ে গেলেন তাঁর বাড়ির নকমান্দি দেখাতে। নকমান্দি হলো মান্দিদের ঐতিহ্যবাহী ঘর। পুরো মধুপুরের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি বাড়িতেই দেখা মেলে এই নকমান্দির। সাংস্কৃতিক দলের ঢাকা যাওয়ার তাড়া ছিল বিধায় উনারা আর দেরি করলেন না। অরুন লেইব্রেসকে বিদায় জানালাম, বললাম পরে যোগাযোগ করব। কিন্তু সেই পরে আর যোগাযোগ করাটা হয়নি। ভেবেছিলাম এবারের ৯ আগস্ট আদিবাসী দিবসে হয়তো দেখা হবে খিয়াং জাতির অরুন লেইব্রেসের সাথে। কিন্তু আদিবাসী দিবস উপলক্ষে সুখেন চাম্বুগং, হেমার্শন হাদিমাদের দাওয়াতে আমরা (পরাগ রিছিল ও আমি) চলে যাই শেরপুরের নালিতা বাড়িতে। জানি না এবারের আদিবাসী দিবসে অরুন বাবু এসেছিলেন কি না। আগের মত প্রাণবন্ত ছিলেন কি না।

১৫ আগস্ট ২০০৭। প্রতিদিনের ন্যায় ঘুম জড়ানো চোখেই দৈনিক পত্রিকা নিয়ে বসে পড়লাম। প্রথম পৃষ্টায় বঙ্গবন্ধু নিয়ে লেখা গুলোয় চোখ বুলিয়ে ভেতরের দিকে যেতেই একটা সংবাদে এসে চোখ আটকে গেল। হ্যাঁ, অরুন লেইব্রেস, ছবির নিচে ছাপানো অক্ষরে তাঁর নাম। অনেকদিন পর অরুন লেইব্রেসের খবর পেয়ে মনটা ভালো হয়ে যাওয়ারই কথা, কিন্তু কেমন যেন অন্যরকম একটা অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে আমার মগজে। চুনিয়ার প্রতিটি দৃশ্য কয়েক গুণিতক হারে বেড়ে মাথার ভেতর কিলবিল কিলবিল শুরু করে দিয়েছে। অরুন বাবুর সাথে আমারতো মাত্র কয়েক মিনিটের আলাপ-পরিচয় মাত্র, কিন্তু তার পরও ওনার জন্য মনটা অন্যরকম লাগছে কেন। সংবাদের শিরোনাম আমাকে পুরো খবর পড়ার জন্য তাড়া দিচ্ছিল -সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে গেলেন খিয়াং নেতা। প্রথম দুটো লাইন ( কিছুই করে যেতে পারলাম না, আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন। নিজ সমপ্রদায়ের কাছে একটি চিরকুটে এভাবে ব্যর্থতা স্বীকার করে আত্মহনণের পথ বেছে নিলেন বাংলাদেশ খিয়াং কল্যাণ সমিতির সভাপতি অরুন লাইব্রেস।) পড়ে কিছুই পরিষ্কার হচ্ছিল না। কিসের ক্ষমা? কিসের ব্যর্থতার দায়ভার একাই বহন করতে চেয়েছেন অরুন লেইব্রেস? মাথা কিঞ্চিত ঠান্ডা রেখে সংবাদ পুরোটা শেষ করলাম। কিছূতেই কিছু মেলাতে পারছিলাম না। নিজের জাতির জন্য অনেক কিছু করতে চেয়েছিলেন অরুন, রাজস্থলীতে খিয়াং ছেলে-মেয়েদের জন্য পরিচালনা করতেন নিজের গড়া খিয়াং হোস্টেল। রাষ্ট্রের সুবিধা বঞ্চিত খিয়াং ছেলে-মেয়েদের থাকা-খাওয়াসহ পড়শোনার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধেই। ধনুছড়ি, কুক্যাছড়ি মৌজার খিয়াংরা যখন একে একে ভূমি হারানো সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছিলেন তখন তিনিই হয়ে উঠেছিলেন প্রতিটি শো (খিয়াং জাতির লোকজন নিজেদের পরিচয় দেন শো হিসেবে) নারী-পুরুষের ভরসার জন। সরকারি-বেসকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের দ্বারে দ্বারে অরুন নিজেদের ভূমি, নিজেদের সাংস্কৃতিক তথা জাতিগত ঐতিহ্য রক্ষার কথা তুলে ধরেছিলেন বলিষ্ট ভাবে। হয়ত অনেক অপ্রাপ্তি ছিল, কিন্তু প্রাপ্তি কি কিছুটাও ছিল না। জীবনে অপ্রাপ্তি থাকলেই কি মানুষ ব্যর্থ হয়ে যায়? না, আমি কিছুই চিন্তা করতে পারছি না, গত বছর যেই তারুণ্যদীপ্ত অরুন লেইব্রেসের সাথে কথা হয়েছিল সে ব্যর্থ হতে পারেন না। আর ব্যর্থ হলেই বা কি, জীবন যুদ্ধে আমরা ছোট-বড় কেউই কি আসলে ব্যর্থতাকে পাশ কাটিয়ে চলতে পারি। আর এই ব্যর্থতার দায় আপনিই বা কেন নিজের করে নিলেন অরুন? কেউ তো আপনার স্বপ্নের প্রতি আপনার আন্তরিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি, এর জন্য কোন খিয়াং নারী-পুরুষতো আপনাকে তাদের ভালোবাসার বন্ধন থেকে দূরে ঠেলে দেয়নি। আর যে ব্যর্থতার কথা আপনি বলেছেন সেই ব্যর্থতার দায়তো আপনার নয়। এ দায় কি এই রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসন, ডান-বাম নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাম্রাজ্যবাদী বিভিন্ন সংস্থা বা আমরা কেউই এড়াতে পারি? না, আমরা কেউই তা পারি না। এই রাষ্ট্র স্বাধীনতার ৩৬ বছরেও তার ভৌগোলিক সীমানার ভেতরে বসবাসরত সকল জাতির অস্তিত্ব পবিত্র সংবিধানে তুলে ধরতে পারেনি, পারেনি বাঙালি ভিন্ন অন্যান্য যে ৪৫ টি বা তারও অধিক জাতিসত্ত্বা রয়েছে তাদের আপন আপন ভূমি-সংস্কৃতি নিয়ে আপন আপন জাতিগত ঐতিহ্যকে ধরে রাখার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে। এই রাষ্ট্র পারেনি বাঙালি বাদে অপরাপর জাতির শিশুদের জন্য তাদের নিজ মাতৃভাষায় পড়াশোনার ব্যবস্থা নিতে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শান্তিচুক্তি হলেও পারেনি পাহাড়ের সেই কাঙ্ক্ষিত জলপাই রংহীন শান্তি ফিরিয়ে আনতে। সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা সমূহের কোটি কোটি ডলারের উন্নয়ন সন্ত্রাসে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভিটে-মাটি ছাড়া হতে হয়েছে, সামাজিক বনায়ন-উডলট-রাবার বাগানের নামে পাহাড় ন্যাড়া হয়েছে-দখল হয়েছে, সমতলের বনাঞ্চলগুলো হয়েছে প্রায় প্রাণবৈচিত্র শূণ্য। আমরা সমতলের বৃহত্তর জাতির শিক্ষিত লোকজনেরা আপনাদের নিয়ে ভাবার কথাতো কখনো চিন্তাই করতে পারি না। আমাদের কত কাজ! কত ব্যস্ততা! কত কত ধান্দা! তারপরেও আপনারা আমাদেরকে বারে বারে বিশ্বাস করেছেন, বন্ধু হিসেবে কাছে পেতে চেয়েছেন। কিন্তু তার মর্ম আমরা বুঝিনি বা ইচ্ছে করেই বুঝতে চাইনি, কিছু করাতো দূরে থাক। আমরা নাট্যব্যক্তিত্বরা আপনাদের সাথে মেশবার ভান করেছি যাতে রাজধানীর বুকে আদিবাসী নাট্য উৎসবের আয়োজন করে সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির একটা অংশ নিজের পকেটে তুলতে পারি। আমরা উন্নয়ন কর্তা-কর্মীরা মেশার চেষ্টা করেছি যাতে আপনাদের উন্নয়নের কথা বলে-আজগুবি সব প্রকল্প হাজির করে-সেমিনার আয়োজন করে-আদিবাসী উৎসব পালন করে দাতা সংস্থার কাড়ি কাড়ি টাকা-পয়সা বাগিয়ে নিতে পারি এই আশায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আপনাদের আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জায়গায় আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জান কবুল করার ভান করেছি ভবিষ্যতে আদিবাসীদের অধিকার-আন্দোলনের কথা বলে এনজিও খুলে বসার ধান্দায়। আমরা বুদ্ধিজীবিরা আদিবাসী দরদী সেজেছি আমাদের জানা-বুঝা-বুদ্ধি দিতে পারার ক্ষমতা কত বেশি তা প্রকাশ করার জন্য। আমরা গবেষকেরা বিভিন্ন সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ করেছি নিজের ক্যারিয়ারকে আরো মজবুত করার আশায়। আমরা ফটোগ্রাফাররা আদিবাসী নারীর নানান ভঙ্গিমার ছবি তুলে প্রদশর্ণী করেছি ফটোগ্রাফার হিসেবে নিজেদের জাহির করার জন্য। আমরা রাজনৈতিক নেতারা আপনাদের জন্য গলাবাজি করেছি নিজেদের অক্ষমতা ঢেকে রাখার জন্য, ইত্যাদি আরো কত কি! কিন্তু কই, এসবের জন্যতো আমাদের কারো কোন অনুশোচনা নেই, লজ্জা নেই, আমরা কেউইতো মানুষের জন্য কিছু করতে না পারার যন্ত্রনায় সামান্যতম কাতর হইনি; আত্মহনন সে তো অনেক দূর। কিন্তু এই রাষ্ট্র, সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা সমূহ, এত এত মানুষ জনের ব্যর্থতার দায়ভার আপনি কেন নিবেন? আপনিতো তাও অনেক কিছু করেছেন, আরো বেশি বেশি করার আকাঙ্খাকে ধারণ করেছিলেন। আপনিতো নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে নেমেছিলেন, তাহলে কেন এতটা অভিমানী হয়ে উঠলেন অরুন ? আপনিতো বেশ ভালো করেই টের পেয়েছিলেন এই রাষ্ট্র, সাম্রাজ্যবাদী সংস্থা ও এর দালাল রাষ্ট্রের সুশীল সমাজ-রাজনীতিক-শিক্ষিত- বুদ্ধিজীবি- শিল্পী- সাহিত্যিকসহ নানান ঘরানার মানুষজনের নানানমুখী স্বার্থবাদীতার বিষয়গুলো। এই স্বার্থবাদীতার জাল ছিঁড়ে ফেলার জন্য আপন আপন জাতির অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে আপনার এগিয়ে চলায় কি শক্তি পেতেন না খিয়াং জাতির লোকজনেরা। আপনি কেন এত অভিমান করে মুখ লুকোলেন? শো নারী-পুরুষেরা কার কাছে রুখে দাঁড়াবার, লড়াই করার প্রেরণা খুঁজবেন ? আমি জানি না অরুন, বিশ্বাস করেন আমি কিছুতেই হিসেব মেলাতে পারছি না। আমি বিশ্বাস করতে চাই, অরুন লেইব্রেস মারা যাননি, সংগ্রামী মানুষের কোন মরন হতে পারে না। আর কিছু দিন পরেই মান্দি গ্রামগুলোতে শুরু হচ্ছে রংচুগালা। জনিক আচ্চু হয়ত সেপ্টেম্বরের শুরুও দিকের কোন ভোরে মোবাইল করে রংচুগালার তারিখ জানাবেন। আমিও হয়ত এক সকালে মায়ের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে রংচুগালার আগের সন্ধ্যায় হাজির হব চুনিয়াতে। রংচুগালার দিন খামাল আসবেন। আদুরি, দামা, রাং এর তালে তালে বাড়ি বাড়ি রুগালা হবে। বচনদাকে নিয়ে বড়বাড়ির বারান্দায় চু খেতে খেতে পথ চেয়ে থাকব কোন আগত অতিথি দলের আশায়। আবার মুখরিত হবে শালবনের কোড়কে প্রয়াত পরেশ মৃ-র পুরো নানান প্রজাতির ফুলে ফুলে ভরা উঠোন। অতিথি দলের তরুণ-তরুণীদের সাথে পরিচিত হতে হতে দেখা পাব অরুন লেইব্রেসের। সেই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা হাসি মাখা মুখে আপনি বলে উঠবেন- না, আমি আত্মহনন করিনি, আমি তা পারি না, কেননা আমি সংগ্রামী, আপন জাতির অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামে আমি আছি, সর্বদাই থাকব।


No comments: